Kharja Mukherjee biography: অব্রাহ্মণকে বিয়ে করায় বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছিল পরিবার, খরাজ মুখোপাধ্যায়ের জীবন একটা সিনেমা
এই পৃথিবীতে সবচেয়ে কঠিন কাজ যদি কিছু হয়ে থাকে তা হল মানুষকে হাসানো। স্বার্থপরতার এই দুনিয়ায় ক’জন পারে মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে! ৯০-এর দশকে বাংলা সিনেমাকে হাসি জিনিসটা একপ্রকার উধাও হয়ে গিয়েছিল। কারণ তেমন কোনও কমেডিয়ান ছিলেন না। পরে সেই পরিস্থিতির ধীরে ধীরে পরিবর্তন হল। খরাজ মুখোপাধ্যায়-এর (Kharaj Mukherjee) মতো অভিনেতা এসে হাল ধরলেন। প্রথমে সিরিয়াল, সেখান থেকে এখন সিনেমা। বাংলা থেকে হিন্দি। সব ধরণের ছবিতে নানা ধরণের চরিত্রে অভিনয় করে মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন। তাঁর তুখোড় অভিনয় দেখে কত মানুষ যে কষ্ট ভুলে দু’দণ্ড প্রাণ খুলে হেসেছেন তা গুনে শেষ করা যাবে না। ধ্রুব বন্দ্যোপাধ্যায় পরিচালিত ‘বগলা মামা যুগ যুগ জিও’ (Bogla Mama Jug Jug Jiyo) ছবিতে নামভূমিকায় অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে খরাজকে। এত বছর ইন্ডাস্ট্রিতে (Tollywood) কাটানোর পর অবশেষে প্রধান চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পেলেন তিনি। কেন এত দেরি হল? জবাবে খরাজ হাসতে হাসতে বলেন, ‘নানান ভাবে চেষ্টা করেছি আমায় যাতে নাম ভূমিকায় নেওয়া হয়। এতদিনে আমায় যোগ্য মনে হয়েছে। আমি ভীষণ খুশি। এর আগে সুযোগ পেলে নিজেকে আরও ভালো করে প্রমাণ করতে পারতাম’।
আজ দেখতে দেখতে টলিউডে কয়েক দশক কাটিয়ে ফেলেছেন খরাজ। তবে আপনি কি জানেন, একটা সময় তিনি রেলে চাকরি করতেন। তাঁর বাড়ির কেউ চাইতো না তিনি অভিনয়ে আসুক। কারণ এটা অনিশ্চয়তায় ভরা একটা পেশা। তবে খরাজ চাকরি আর অভিনয় দু’টো দিক একসঙ্গে সামাল দিয়ে উঠতে পারছিলেন না। শেষমেষ একদিন স্ত্রী প্রতিভার সমর্থন পেয়ে রেলের চাকরি ছেড়ে অভিনয়কেই পেশা হিসেবে বেছে নেন তিনি। জীবনের সকল চড়াই-উৎরাইয়ে স্ত্রীকে পাশে পেয়েছেন খরাজ। তবে একদিন তাঁকেই বিয়ে করার জন্য ত্যাজ্যপুত্র হতে হয়েছিল অভিনেতাকে। খরাজ ছিলেন রক্ষণশীল ব্রাহ্মণ পরিবারের ছেলে, অপরদিকে তাঁর স্ত্রী ছিল অব্রাহ্মণ। বাবার বিরুদ্ধে গিয়ে বিয়ে করায় বাড়ি ছাড়তে হয় তাঁকে। পরে অবশ্য তাঁর বড়দার বোঝানোর পর বাবা সবটা মেনে নেন। এরপর থেকে স্ত্রীকে নিয়ে নিজের বাড়িতে থাকতে শুরু করেন খরাজ।
তবে শুধু ব্যক্তিগত জীবন নয়, পেশাগত জীবনেও প্রচুর চড়াই-উৎরাইয়ের সম্মুখীন হয়েছেন খরাজ। নিজের চেহারার কারণে একটা সময় প্রচুর কথা শুনতে হয়েছিল তাঁকে। কম বয়সে রোগাই ছিলেন অভিনেতা। তবে একটি অ্যাক্সিডেন্টের পর ধীরে ধীরে মোটা হয়ে যান তিনি। যদিও অভিনেতার কথায়, এতে একদিকে ভালোই হয়েছিল। ভারী চেহারার দরুন ইন্ডাস্ট্রিতে একের পর এক কাজের অফার পেতে থাকেন তিনি। আজ কেরিয়ারে এত সফল হলেও খরাজের মধ্যে কোনও তারকাসুলভ আচরণ নেই। আর পাঁচজন বিবাহিত পুরুষের মতো বাড়ির কাজে স্ত্রীয়ের সহায়তা করেন তিনি। দরকার পড়লে বাসন অবধি মাজেন। বাড়ির সবাই তাঁর হাতের রান্না খেতে ভীষণ ভালোবাসে। অভিনেতা মানে বাড়ির এসব টুকটাক কাজ করা যাবে না এই ধারণার ঘোরতর বিরোধী খরাজ।
আজ দেখতে দেখতে টলিউডে কয়েক দশক কাটিয়ে ফেলেছেন খরাজ। তবে আপনি কি জানেন, একটা সময় তিনি রেলে চাকরি করতেন। তাঁর বাড়ির কেউ চাইতো না তিনি অভিনয়ে আসুক। কারণ এটা অনিশ্চয়তায় ভরা একটা পেশা। তবে খরাজ চাকরি আর অভিনয় দু’টো দিক একসঙ্গে সামাল দিয়ে উঠতে পারছিলেন না। শেষমেষ একদিন স্ত্রী প্রতিভার সমর্থন পেয়ে রেলের চাকরি ছেড়ে অভিনয়কেই পেশা হিসেবে বেছে নেন তিনি। জীবনের সকল চড়াই-উৎরাইয়ে স্ত্রীকে পাশে পেয়েছেন খরাজ। তবে একদিন তাঁকেই বিয়ে করার জন্য ত্যাজ্যপুত্র হতে হয়েছিল অভিনেতাকে। খরাজ ছিলেন রক্ষণশীল ব্রাহ্মণ পরিবারের ছেলে, অপরদিকে তাঁর স্ত্রী ছিল অব্রাহ্মণ। বাবার বিরুদ্ধে গিয়ে বিয়ে করায় বাড়ি ছাড়তে হয় তাঁকে। পরে অবশ্য তাঁর বড়দার বোঝানোর পর বাবা সবটা মেনে নেন। এরপর থেকে স্ত্রীকে নিয়ে নিজের বাড়িতে থাকতে শুরু করেন খরাজ।
তবে শুধু ব্যক্তিগত জীবন নয়, পেশাগত জীবনেও প্রচুর চড়াই-উৎরাইয়ের সম্মুখীন হয়েছেন খরাজ। নিজের চেহারার কারণে একটা সময় প্রচুর কথা শুনতে হয়েছিল তাঁকে। কম বয়সে রোগাই ছিলেন অভিনেতা। তবে একটি অ্যাক্সিডেন্টের পর ধীরে ধীরে মোটা হয়ে যান তিনি। যদিও অভিনেতার কথায়, এতে একদিকে ভালোই হয়েছিল। ভারী চেহারার দরুন ইন্ডাস্ট্রিতে একের পর এক কাজের অফার পেতে থাকেন তিনি। আজ কেরিয়ারে এত সফল হলেও খরাজের মধ্যে কোনও তারকাসুলভ আচরণ নেই। আর পাঁচজন বিবাহিত পুরুষের মতো বাড়ির কাজে স্ত্রীয়ের সহায়তা করেন তিনি। দরকার পড়লে বাসন অবধি মাজেন। বাড়ির সবাই তাঁর হাতের রান্না খেতে ভীষণ ভালোবাসে। অভিনেতা মানে বাড়ির এসব টুকটাক কাজ করা যাবে না এই ধারণার ঘোরতর বিরোধী খরাজ।
No comments:
please do not enter any spam link in the comment box