Bollywood actor Govinda unknown facts: জন্মের পর সংসার ত্যাগ করেন মা, বাবা মনে করতেন অপয়া, সুপারস্টার গোবিন্দার জীবনের অজানা কাহিনী
সিরিয়াস থেকে কমেডি। যেকোনও চরিত্রে গোবিন্দার অভিনয় একসময় মাতিয়ে রাখত সারা ভারত। শুধু অভিনয় নয়। নাচেও সমান পারদর্শী তিনি। একটা সময় একসঙ্গে ৩৩টি ছবিতে একসঙ্গে সাইন করেছেন গোবিন্দা। এখন তাঁর ৫৯ বছর বয়স। এখনও জনপ্রিয়তা বিন্দুমাত্র কমেনি। সিনেমার সঙ্গে আর তেমন যুক্ত না থাকলেও নতুন প্রজন্মের কাছে গোবিন্দা আজও প্রিয়। কিন্তু জানেন কী ? জন্মের পর এই গোবিন্দাকে কোলে নিতে অস্বীকার করেন তাঁর বাবা। কিন্তু কেন ?
গোবিন্দার জন্মের পর তাঁর মা সংসারের মায়া ত্যাগ করে সন্ন্যাসিনী হয়ে যান। পরপর এত ধাক্কা অরুণ কুমার মেনে নিতে পারেননি। আর্থিক ক্ষতি ও স্ত্রীর সন্ন্যাস গ্রহণের জন্য তিনি গোবিন্দার জন্মকে দায়ী করেন। সেই জন্য প্রায় একবছর ছোট্ট গোবিন্দাকে কোলে নেননি তিনি। এরপর অসুস্থ হয়ে পড়েন অরুণ কুমার। প্রায় ১৫ বছর অসুস্থতার সঙ্গে লড়াই করে তিনি মারা যান। বাবা স্নেহ না করলেও গোবিন্দা তাঁকে সম্মান করতেন। বাবার পরামর্শে গোবিন্দা সিনেমায় অভিনয় করতে যান। পাশাপাশি, মাকেও খুব যত্ন করতেন তিনি। মায়ের পরামর্শে সুনিতাকে বিয়ে করেছিলেন। যদিও তখন নীলমের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল গোবিন্দার। তাঁকেই বিয়ে করবেন বলে ঠিক করেন। কিন্তু মায়ের নির্দেশে শেষ পর্যন্ত মত বদলান।
১৯৯৫ সালে মায়ের হঠাৎ মৃত্যু মেনে নিতে পারেননি গোবিন্দা। মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। তখন মায়ের শেখানো গায়িত্রী মন্ত্র জব করে নিজেকে সামলান। কমার্স নিয়ে স্নাতক হওয়ার পর গোবিন্দার বাবা তাঁকে অভিনেতা হওয়ার পরামর্শ দেন। যদিও একটি সার প্রস্তুতকারক কোম্পানিতে তিনি চাকরি পেয়ে গিয়েছিলেন। চাকরি ছেড়ে অভিনয়কে পেশা হিসেবে বাছেন তিনি। ১৯৮১ সালে মিঠুন চক্রবর্তীর ‘ডিস্কো ডান্সার’ তাঁকে অভিনেতা হওয়ার অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিল। দূরদর্শনের ‘মহাভারত’ সিরিয়ালে অভিম্যুনের চরিত্রে অডিশন দিয়ে সিলেক্ট হন। কিন্তু ততদিনে তিনি তাঁর প্রথম ছবির অফার পেয়ে গিয়েছিলেন। তাই সিরিয়াল ছেড়ে বড় পর্দায় অভিনয় করবেন বলে ঠিক করেন।
Govinda childhood story:
১৯৬৩ সালের ২১শে ডিসেম্বর মুম্বাইয়ে জন্ম হয় গোবিন্দার। তাঁর বাবা অরুণ কুমার আহুজা পাঞ্জাব থেকে মুম্বাই এসেছিলেন অভিনেতা হওয়ার জন্য। ১৯৪০ সালে অরুণ কুমার মেহবুব খানের ‘ওরৌত’ ছবিতে অভিনয় করেন। প্রায় ৩০টি ছবিতে তিনি হিরো ছিলেন। মা নির্মলা দেবীও গায়িকা-অভিনেত্রী ছিলেন। অরুণ কুমার একটি সিনেমা প্রযোজনা করেন। যা চূড়ান্ত ব্যর্থ হয়। এর ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে পারেননি তিনি। আর্থিকভাবে বিপর্যস্ত অরুণ কুমার পরিবার নিয়ে বাংলো ছেড়ে ভাড়ার বাড়িতে ওঠেন। সেখানেই গোবিন্দার জন্ম হয়।গোবিন্দার জন্মের পর তাঁর মা সংসারের মায়া ত্যাগ করে সন্ন্যাসিনী হয়ে যান। পরপর এত ধাক্কা অরুণ কুমার মেনে নিতে পারেননি। আর্থিক ক্ষতি ও স্ত্রীর সন্ন্যাস গ্রহণের জন্য তিনি গোবিন্দার জন্মকে দায়ী করেন। সেই জন্য প্রায় একবছর ছোট্ট গোবিন্দাকে কোলে নেননি তিনি। এরপর অসুস্থ হয়ে পড়েন অরুণ কুমার। প্রায় ১৫ বছর অসুস্থতার সঙ্গে লড়াই করে তিনি মারা যান। বাবা স্নেহ না করলেও গোবিন্দা তাঁকে সম্মান করতেন। বাবার পরামর্শে গোবিন্দা সিনেমায় অভিনয় করতে যান। পাশাপাশি, মাকেও খুব যত্ন করতেন তিনি। মায়ের পরামর্শে সুনিতাকে বিয়ে করেছিলেন। যদিও তখন নীলমের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল গোবিন্দার। তাঁকেই বিয়ে করবেন বলে ঠিক করেন। কিন্তু মায়ের নির্দেশে শেষ পর্যন্ত মত বদলান।
১৯৯৫ সালে মায়ের হঠাৎ মৃত্যু মেনে নিতে পারেননি গোবিন্দা। মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। তখন মায়ের শেখানো গায়িত্রী মন্ত্র জব করে নিজেকে সামলান। কমার্স নিয়ে স্নাতক হওয়ার পর গোবিন্দার বাবা তাঁকে অভিনেতা হওয়ার পরামর্শ দেন। যদিও একটি সার প্রস্তুতকারক কোম্পানিতে তিনি চাকরি পেয়ে গিয়েছিলেন। চাকরি ছেড়ে অভিনয়কে পেশা হিসেবে বাছেন তিনি। ১৯৮১ সালে মিঠুন চক্রবর্তীর ‘ডিস্কো ডান্সার’ তাঁকে অভিনেতা হওয়ার অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিল। দূরদর্শনের ‘মহাভারত’ সিরিয়ালে অভিম্যুনের চরিত্রে অডিশন দিয়ে সিলেক্ট হন। কিন্তু ততদিনে তিনি তাঁর প্রথম ছবির অফার পেয়ে গিয়েছিলেন। তাই সিরিয়াল ছেড়ে বড় পর্দায় অভিনয় করবেন বলে ঠিক করেন।
No comments:
please do not enter any spam link in the comment box