প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, অসুর দমন করতে করতে আদ্যাশক্তি মহামায়া প্রচণ্ড রূপ ধারণ করেন। বিনাশিনী রূপে তিনি সৃষ্টি দাপিয়ে বেড়াতে শুরু করেন। প্রলয় আরম্ভ হয়। সৃষ্টি-স্থিতি-লয় ধ্বংসের মুখে পড়ে। কিছুতেই এলোকেশী সর্বনাশী দেবীকে শান্ত করা যাচ্ছে না। তখন মহাদেব দেবীর ক্রোধ শান্ত করতে শুয়ে পড়েন। দেবী না দেখেই নিজের স্বামীর বুকে পা দিয়ে দেন। লজ্জায় জিভ কাটেন। শান্ত হয় সবকিছু। মায়ের এই রূপকে বলা হয় কালী (Maa kali)। এটা প্রচলিত একটি গল্প। কিন্তু এই গল্পের সঙ্গে শাস্ত্রের কোনও মিল নেই। মা কালীর প্রতিটি রূপের আলাদা আলাদা ব্যাখ্যা আছে। এই প্রতিবেদনে সেই রূপের ব্যাখ্যা করব।
মহাদেবের বুকে পা রেখেছেন বলে মা জিহ্বা বের করেছেন, এই তত্ত্ব খাটে না। কারণ, পুরাণ অনুযায়ী, কালী হল শিবের অংশ বা শক্তি। প্রকৃতি ও পুরুষ। একে অপরকে ছাড়া বৃথা। কালী ছাড়া শিব নয়, তিনি তখন শব। একই ব্যাখ্যা মেলে অর্ধনারীশ্বর মূর্তিতে। সেখানেও বলা হয়েছে, প্রকৃতি ও পুরুষ একে অপরের পরিপূরক। কেউ ছোট বা উচ্চ নয়। নারী শক্তি কোনও অংশেই পুরুষের থেকে কম নয়।
মায়ের বিগ্রহ ভালো করে দেখলে বোঝা যাবে, দেবী জিভ দাঁত দিয়ে চেপে আছেন। লাল জিহ্বা রজঃ গুণের প্রতীক। আর সাদা দাঁত সত্ত্বগুণের প্রতীক। লাল জিভকে সাদা দাঁত দিয়ে চেপে ধরে আছেন তিনি। অর্থাৎ মানুষের ভালো গুণ বা সত্ত্বগুণ দিয়ে লোভ, লালসা, বাসনা অর্থাৎ রজঃগুণকে দমন করছেন। জিভ হল মানুষের কামনা, বাসনা, হিংসার উৎস। সেগুলি দমন বা আত্মনিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে ঈশ্বরের সঙ্গে মিলিত হওয়া যায় না। শাস্ত্র অনুযায়ী, দেবী আদিশক্তি নিরাকার। তাঁর রূপ কল্পনা করা মানুষের সাধ্যের বাইরে। মানুষ নিজের সুবিধার জন্য তাঁকে ইন্দ্রিয় বন্ধু রূপে কল্পনা করে নিয়েছে। মা কালীর রূপটিও এমনই কল্পিত রূপ।
মহাদেবের বুকে পা রেখেছেন বলে মা জিহ্বা বের করেছেন, এই তত্ত্ব খাটে না। কারণ, পুরাণ অনুযায়ী, কালী হল শিবের অংশ বা শক্তি। প্রকৃতি ও পুরুষ। একে অপরকে ছাড়া বৃথা। কালী ছাড়া শিব নয়, তিনি তখন শব। একই ব্যাখ্যা মেলে অর্ধনারীশ্বর মূর্তিতে। সেখানেও বলা হয়েছে, প্রকৃতি ও পুরুষ একে অপরের পরিপূরক। কেউ ছোট বা উচ্চ নয়। নারী শক্তি কোনও অংশেই পুরুষের থেকে কম নয়।
মায়ের বিগ্রহ ভালো করে দেখলে বোঝা যাবে, দেবী জিভ দাঁত দিয়ে চেপে আছেন। লাল জিহ্বা রজঃ গুণের প্রতীক। আর সাদা দাঁত সত্ত্বগুণের প্রতীক। লাল জিভকে সাদা দাঁত দিয়ে চেপে ধরে আছেন তিনি। অর্থাৎ মানুষের ভালো গুণ বা সত্ত্বগুণ দিয়ে লোভ, লালসা, বাসনা অর্থাৎ রজঃগুণকে দমন করছেন। জিভ হল মানুষের কামনা, বাসনা, হিংসার উৎস। সেগুলি দমন বা আত্মনিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে ঈশ্বরের সঙ্গে মিলিত হওয়া যায় না। শাস্ত্র অনুযায়ী, দেবী আদিশক্তি নিরাকার। তাঁর রূপ কল্পনা করা মানুষের সাধ্যের বাইরে। মানুষ নিজের সুবিধার জন্য তাঁকে ইন্দ্রিয় বন্ধু রূপে কল্পনা করে নিয়েছে। মা কালীর রূপটিও এমনই কল্পিত রূপ।
No comments:
please do not enter any spam link in the comment box