Sourav Ganguly: বিদেশে পড়তে গিয়ে বাবা-মাকে ভুলে গিয়েছে সানা, দাদাগিরিতে মেয়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ সৌরভ গাঙ্গুলির

Sourav Ganguly: বিদেশে পড়তে গিয়ে বাবা-মাকে ভুলে গিয়েছে সানা, দাদাগিরিতে মেয়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ সৌরভ গাঙ্গুলির
বাঙালির ইমোশনের অন্যতম নাম সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly)। প্রায় দশ বছর ধরে দাদাগিরির সঞ্চালক তিনি। ২২ গজ কাঁপিয়ে দেওয়ার পর টিভির পর্দাতেও চূড়ান্ত সফল ‘বাংলার দাদা’। এই অনুষ্ঠানে সৌরভ গাঙ্গুলীকে নিয়ে জিজ্ঞাসার অন্ত নেই। সামনে দেখতে পেয়ে অনেকেই নানান রকম প্রশ্ন করে থাকেন। দাদাও চেষ্টা করেন উত্তর দেওয়ার। তবে এবার একমাত্র মেয়ে সানা গাঙ্গুলিকে নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই রীতিমতো খুব প্রকাশ করলেন বাবা সৌরভ।

সৌরভ এবং ডোনা গাঙ্গুলীর একমাত্র মেয়ে সানা ইনভারসিটি কলেজ অব লন্ডন থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক হওয়ার পর বৃটেনের একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে ইন্টার্নশিপ করছেন। গত নভেম্বর মাসেই চাকরি পেয়েছেন তিনি। পড়াশোনার পাশাপাশি চাকরি নিয়ে এখন বেজায় ব্যস্ত সানা। কিন্তু যে সানা বাবা মায়ের মুখ উজ্জ্বল করেছেন সেই মেয়েকে নিয়ে গর্ব হওয়ার পরিবর্তে কেন এত অভিযোগ সৌরভের?
Sourav Ganguly: বিদেশে পড়তে গিয়ে বাবা-মাকে ভুলে গিয়েছে সানা, দাদাগিরিতে মেয়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ সৌরভ গাঙ্গুলির

সম্প্রতি একটি পর্বে দাদাগিরির মঞ্চে এসেছিলেন অভিনেত্রী শ্বেতা ভট্টাচার্য। দাদার সঙ্গে গল্প করতে করতে তিনি জানান।, শুটিং হোক বা ঘুরতে যাওয়া সব সময় বাবা মা সঙ্গে থাকেন। বাবা মাকে সময় দেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। অভিনেত্রীর মুখে এই কথা শুনে কিছুটা মনমরা হয়ে পড়েছিলেন সৌরভ গাঙ্গুলী। তখনই নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানান।
Sourav Ganguly: বিদেশে পড়তে গিয়ে বাবা-মাকে ভুলে গিয়েছে সানা, দাদাগিরিতে মেয়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ সৌরভ গাঙ্গুলির

সৌরভ বলেন, তোমার কথাগুলো একটু রেকর্ড করে আমাকে পাঠিও। আমি সানাকে পাঠাবো। এই কথা শুনে শ্বেতা হেসে ওঠেন। তখন দাদা বলেন, না না হাসির কথা নয়। আমি সত্যি বলছি। একবার সানাকে কলেজে ছাড়তে গিয়ে অদ্ভুত পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিলাম। নিজের কলেজে মেয়ে আমাকে নো এন্ট্রি করে দিয়েছিল। সৌরভ আরও বলেন, কলেজের প্রায় এক মাইল দূর থেকে মেয়ে আমাকে চলে যেতে বলতো। সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে ওর সঙ্গে কলেজে যেতাম। কিন্তু ও বলতো, আমার বন্ধুরা তোমাকে দেখে ফেলবে। তুমি চলে যাও। সকালে এইভাবে চলে যাওয়ার পর বিকেলে গাছের আড়ালে দাঁড়িয়ে থাকতাম। মেয়ে এসে দেখা করত। 
সৌরভের এই কথা শুনে সেখানে উপস্থিত অদিতি চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আসলে সানা জানে তার বাবা একজন সেলিব্রিটি। ও জানে ও অনেকের থেকে একেবারেই আলাদা। তোমাকে দেখলে সবাই দৌড়ে আসবে তাই তোমাকে দূরে দাঁড়িয়ে থাকতে বলে।” এই কথা শুনে অদিতিকে সৌরভ পাল্টা প্রশ্ন করেন, “সেলিব্রিটি তো কি হয়েছে? তা বলে বাবাকে এক মাইল দূরে দাঁড় করিয়ে রাখবে ?”

No comments:

please do not enter any spam link in the comment box

Powered by Blogger.