কী ঘটতে চলেছে আমাদের রাজ্যে রাজনীতিতে ? সবটাই যেন ধোঁয়াশা। কোনও কিছুই স্পষ্ট নয়। জল্পনার জাল ক্রমশ বেড়েই চলেছে। তবে কিছু যে একটা হতে চলেছে তা স্পষ্ট। এর মধ্যে দেবকে নিয়ে জল্পনা আরও বাড়ল। তিনি কী সাংসদ পদে থাকছেন নাকি বিদায় নেবেন ? উত্তর জানা নেই। বেরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জানিয়ে দিয়েছেন, দেবের পদত্যাগ সময়ের অপেক্ষা। তেমনি যেন কিছুটা ইঙ্গিত দিয়েছেন দেব নিজেও। ইতিমধ্যে ঘাটালের তিনটি প্রশাসনিক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন দেব। কারণ হিসেবে জানিয়েছেন, অভিনয়ের চাপে ঠিকমতো সময় দিতে পারছেন না। লোকসভা নির্বাচনের আগে দেবের এই পদক্ষেপ যথেষ্ট ইঙ্গিত পূর্ণ। তবে কি রাজনীতিকে বিদায় জানাবেন সাংসদ অভিনেতা? উত্তর এখনো স্পষ্ট নয়। কিন্তু রাজনীতি ও অভিনয়ের মধ্যে একটাকে বেছে নিতে হলে কি করবেন? স্পষ্ট করে দিয়েছেন ঘাটালের তৃণমূল সাংসদ।
তিনটি প্রশাসনিক পথ থেকে ইস্তফা
লোকসভা ভোটের ঠিক আগে ঘাটালে একটার পর একটা কমিটি থেকে নিজের নাম বাদ দিয়েছেন দেব। যদিও তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসন্ন নির্বাচনে দেব কে প্রার্থী করতে চেয়েছেন। কিন্তু কিছু ব্যক্তিগত কারণে রাজনৈতিক দায়িত্ব ছাড়তে চান অভিনেতা। ঘাটাল রবীন্দ্র শতবার্ষিকী মহাবিদ্যালয়, ঘাটাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যানের পদ এবং বীর সিংহ উন্নয়ন পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যানের পথ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি।
হঠাৎ কেন এমন সিদ্ধান্ত নিলেন?
এই প্রশ্নের জবাবে স্পষ্ট কিছু জানাননি দেব। তবে অভিনেতার বিরুদ্ধে তাঁর সংসদ এলাকাতে যথাযথ সময় দিতে পারছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয়, ঘাটালের প্রাক্তন বিধায়কের সঙ্গে মনোমালিন্যের কথা প্রকাশে এসেছে। সবমিলিয়ে ঘাটালে ক্রমশ কোন ঠাসা হচ্ছিলেন দেব। এখানেই শেষ নয়, দেবের নামে ঘাটালে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে উঠেছে। সমবায়ে নিয়ম বহির্ভূতভাবে কোটি টাকার উপরে ঋণ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাঁর অনুগামীর বিরুদ্ধে। দেবের নাম ব্যবহার করে নিয়োগের প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে। যদিও দেব ঘনিষ্ঠদের দাবি, তিনি কাটমানি নেন না। তাই তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে দলের একাংশ।
রাজনীতি ও অভিনয়ের মধ্যে কোনটা ছাড়বেন দেব?
বেশ কয়েক বছর আগে জি বাংলাতে শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের সঞ্চালনায় সম্প্রচারিত অপুর সংসার নামক একটি টক শোয়ে উপস্থিত হয়ে এই প্রসঙ্গে মুখ খুলেছিলেন অভিনেতা। তাকে প্রশ্ন করা হয় যদি একটা ছাড়তে হয় তাহলে রাজনীতি ও অভিনয়ের মধ্যে তিনি কোনটা ছাড়বেন? একটু ভেবে দেব উত্তর দেন, “দুটোকেই আমি ধরে রাখিনি। দুটোই আমায় ধরে রেখেছে।” দেব আরও বলেন, “আমার হাতে কিছু নেই। আমি সত্যিই চাইলে এটাও করতে পারব না। চাইলে ওটাও করতে পারবো না।” দেবের এই বুদ্ধিদীপ্ত জবাবে বেশ খুশি হয়েছিলেন তার ভক্তরা। এহেন দেব কি এবার তবে স্বেচ্ছায় রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছেন? ভোটের মুখে বিজেপিও এখন দেবের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগকেই হাতিয়ার করতে চাইছে। আর তৃণমূলের দাবী, “সবই বিজেপির অপপ্রচার!”
No comments:
please do not enter any spam link in the comment box