Sandeshkhali: শাহজাহান নয়! বাংলার বুকে সন্দেশখালিকে প্রথম জনপ্রিয় করেছিলেন উত্তম কুমার

Sandeshkhali: শাহজাহান নয়! বাংলার বুকে সন্দেশখালিকে প্রথম জনপ্রিয় করেছিলেন উত্তম কুমার
বর্তমানে রাজ্য রাজনীতি সন্দেশখালিকে কেন্দ্র করে তোলপাড় হয়ে উঠেছে। শাসক দলের নেতাদের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছেন গ্রামবাসীরা। জমি দখল থেকে শুরু করে বাড়ির বউদের উপর অত্যাচারের বিরুদ্ধে সরব তাঁরা। আজ থেকে প্রায় ৫ দশক আগে এমনই অন্যায় অত্যাচারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন উত্তম কুমার। বাস্তবে নয়। সিনেমাতে। ছবির নাম ছিল অমানুষ। সন্দেশখালির সঙ্গে অমানুষের গভীর যোগাযোগ। কিভাবে জানুন।

১৯৭৪ সালে রিলিজ হয় শক্তি সামন্ত পরিচালিত উত্তম কুমার, শর্মিলা ঠাকুর, উৎপল দত্ত অভিনীত অমানুষ। ছবিটি কত বড় হিট ছিল তা আজ আর নতুন করে বলার প্রয়োজন পড়ে না। শুধু বাংলায় নয় । হিন্দি তেও ছবিটি রমরমিয়ে চলেছিল। এই সিনেমার দৃশ্য জুড়ে ফুটে উঠেছিল সন্দেশখালীর নদী, মাঠ ঘাট , সুন্দরবনের জঙ্গল। ছবির মধ্যে যে প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখানো হয়েছিল তা ছিল সুন্দরবনের দুই নম্বর ব্লকের গ্রাম। পরিচালক শক্তি সামন্ত সন্দেশখালীর দুই নম্বর ব্লকের ভাঙ্গা তুষখালী গ্রামটিকে শুটিংয়ে স্পট হিসেবে নির্বাচন করেছিলেন। শক্তিপদ রাজগুরুর লেখা 'নয়া বসত' উপন্যাস অবলম্বনে 'অমানুষ' ছবিটি শুটিং হয়েছিল। সন্দেশখালীর বিভিন্ন অঞ্চলে কিছুদিন আগে পর্যন্ত সিনেমাতে ব্যবহার হওয়া লঞ্চটিও অক্ষত অবস্থায় ছিল। আজও রয়েছে পিডব্লিউডির সেই পুরনো বাংলো। যেখানে থাকতেন উত্তম কুমার। সারাদিন শুটিংয়ের পর রাতে গ্রামের মানুষদের সঙ্গে আড্ডা দিতেন তিনি। অনেক বর্ষিয়ান গ্রামবাসীর মনে সেই স্মৃতি আজও তাজা।
Sandeshkhali: শাহজাহান নয়! বাংলার বুকে সন্দেশখালিকে প্রথম জনপ্রিয় করেছিলেন উত্তম কুমার

শুটিংয়ের মাঝে একদিন সন্ধ্যার সময় সন্দেশখালির ঘন জঙ্গলের মধ্যে পথ হারিয়ে ফেলে লঞ্চের চালক। লঞ্চে তখন উত্তম কুমার, শর্মিলা ঠাকুর, উৎপল দত্ত সহ অন্যান্যরা ছিলেন। ঠিক ওই সময় এক আলো লক্ষ্য করে সেই পথে ছুটে চলে লঞ্চ। কাছে গিয়ে দেখা যায় সেটা আসলে একটা ছোট্ট দোকান। উত্তম কুমার এসেছেন জেনে সেদিন নদীর পাড়ে শত শত মানুষ এসেছিলেন হ্যারিকেন উঁচিয়ে। এক নজর তাদের মহানায়ককে দেখবেন বলে।‘অমানুষ’ ছবির গল্প কিন্তু কোনও কোনও ক্ষেত্রে আজকের সন্দেশখালীর চিত্রের সঙ্গে মিলে যায়। নারী নির্যাতন, গরিবদের উপর অত্যাচার, অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে সঙ্গবদ্ধভাবে গোটা গ্রামের লড়াই, আজকের সন্দেশখালীর চেহারা মনে করিয়ে দিচ্ছে ৫ দশক আগের সেই সিনেমার গল্প। ছবিতে মহিম ঘোষালের অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে গর্জে উঠেছিল গোটা গ্রাম। ঠিক আজ যেমন শাহজাহানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন সন্দেশখালির গ্রামবাসীরা। তবে শুধু ‘অমানুষ নয়, বিগত কয়েক দশকে ছবি নির্মাতাদের শুটিংয়ের জন্য অন্যতম পছন্দের স্থান হয়ে উঠেছে এই সন্দেশখালি। এখানে মুনমুন সেন সন্তু মুখোপাধ্যায়দের নিয়ে ‘বান্ধবী’ সিনেমার শুটিং হয়েছে। দেবের ‘চাঁদের পাহাড়’ সিনেমার শুটিংও হয়েছে এখানেই। এহেন সন্দেশখালিতে গত প্রায় দেড় দশক ধরে যা কিছু ঘটে চলেছে বলে গ্রামবাসীদের অভিযোগ তাও বা সিনেমার থেকে কম কি?

No comments:

please do not enter any spam link in the comment box

Powered by Blogger.