Durnibar Saha-Mohor Sen honeymoon : কীসের ভয়ে হানিমুনের ছবি প্রকাশ করতে পারছেন না দুর্নিবার সাহার দ্বিতীয় স্ত্রী
বিয়ে হয়েছিল ৯ মার্চ। তবে সেটা রূপকথার বিয়ে হয়নি বরং ছিল কটাক্ষ, গালিগালাজ ও দীর্ঘ নিঃশ্বাসে ভরা। যদিও গায়ক দুর্নিবার সাহা এবং তার দ্বিতীয় স্ত্রী মোহর সেন সে সব কিছুকে পাত্তা দিতে নারাজ। নেটিজেনদের কটাক্ষের জবাবে দুর্নিবার লিখেছিলেন, শকুনের অভিশাপে গরু মরে না। ভালো কথা, তবে কটাক্ষের জুজু যে তাঁদের তাড়িয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছে, তা স্পষ্ট। আর সেটা পরিষ্কার হয়েছে মোহর সেনের কথায়। নবদম্পতি ইতিমধ্যেই মধুচন্দ্রিমা সেরে ফিরেছেন। খুব ইচ্ছা ছিল সোশ্যাল সাইটে সেই সব ঘনিষ্ট মুহূর্তের ছবি পোস্ট করবেন। হাজার হাজার লাইক পাবেন। গালভরা কমেন্ট পাবেন। দুষ্টমিষ্টি সেই সব ছবি ভাইরাল হবে। মিডিয়ায় লেখালেখি হবে। কিন্তু সে গুড়ে বালি। ভয়ে সোশ্যাল সাইটে ছবি দিয়ে উঠতে পারছেন না তাঁরা। কিসের ভয় ?
অদ্ভূতভাবে নীরবতা রেখেছিলেন মীনাক্ষী। প্রাক্তন স্বামীর বিয়ে নিয়ে তিনি কোন শব্দ খরচ করেননি। শুধু দুদিন আগে তিনি নিজের ছবি দিয়ে লিখেছিলেন, আর একটু বেশি পরিশ্রমের পথে হাঁটো, তাতে ভিড় অনেক কম। মীনাক্ষীর লেখা নিয়ে অনেক রকম মন্তব্য এসেছে। গায়িকা ইমন তাঁকে ভালোবাসার প্রতীক বলে চিহ্নিত করেছেন। একদিকে যখন মানুষের সহমর্মিতা পাচ্ছেন মীনাক্ষী। অন্যদিকে, তখন দুর্নিবার ও মোহরের জন্য শুধুই কটাক্ষ। অবশ্য যে যেভাবে ভালো থাকে, তাঁকে সেইভাবে ভালো থাকতে দিতে হয়। কিন্তু অন্যের দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলিয়ে কী সত্যি ভালো থাকা সম্ভব ? উত্তর লুকিয়ে আছে কালের গর্ভে। জবাব একদিন মিলবে।
কী লিখেছেন মোহর সেন ?
শুক্রবার ফেসবুকে মোহর সেন লিখেছেন, ভেবেছিলাম হানিমুনের ছবি পোস্ট করব। কিন্তু করে উঠতে পারছি না। সেটা আপনাদের জন্য। ভাববেন পাত্তা দিচ্ছি। কিন্তু নিজের এবং আপনজনের শান্তি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ আমার কাছে। তাই…। যতই মুখে বলুন, ভয় পাচ্ছি না। পাত্তা দিচ্ছি না। ভয় যে তাঁরা পেয়েছেন, তা লেখা থেকেই স্পষ্ট। ইদানিংকালে কারও বিয়ে নিয়ে এত সমালোচনা দেখা যায়নি। অনেকের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। নতুন সঙ্গীর সঙ্গে ঘর বাঁধেন। কিন্তু যে পরিমাণ সমালোচনা ও কটাক্ষের মুখে দুর্নিবার সাহা পড়েছেন, তা সত্যি বিরল। বিয়ের আগে থেকেই চলছে কটাক্ষ। এখনো থামেনি। নেট নাগরিকরা ধরেই নিয়েছে, আসলে ধান্দার জন্য প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সহকারীকে বিয়ে করছেন দুর্নিবার। রিয়ালিটি শো থেকে উঠলেও বাংলার গায়ক হিসেবে এখনও হালে তেমন পানি পাননি তিনি। সেই রিয়ালিটি শোতে তিনি জিতেছিলেন তেমনটাও নয়। ইতিমধ্যে রবীন্দ্র সঙ্গীতের অ্যালবাম বের করেছেন। হিট হয়নি সেটা আলাদা প্রসঙ্গ। অনেকের বক্তব্য, নিজের স্বার্থের জন্য প্রথম স্ত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়কে বিয়ের এক বছরের মধ্যে ছেড়ে দিলেন। যদিও তার অনেকদিন আগে থেকেই প্রেম এবং লিভইন চলছিল। তখন মনে হয়নি, মীনাক্ষী তাঁর জন্য সঠিক ব্যক্তি নয় ? প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সহকারীর সঙ্গে আলাপ হতেই খেলা ঘুরে গেল।চুপ মীনাক্ষী মুখ খুলেছেন
প্রাক্তন স্বামীর বিয়ের কয়েকদিন আগে ফেসবুকে পেশায় শিক্ষিকা মীনাক্ষী লিখেছিলেন, জীবনে রণবীর সিংকে আসতে হলে রণবীর কাপুরকে বিদায় দিতে হয়। আপাত নিরীহ এই লেখার মধ্যে লুকিয়ে আছে গভীর অর্থ। দীপিকা পাডুকোনের সঙ্গে সম্পর্কে থাকাকালীন অন্য নারীতে বারবার আসক্ত হয়েছেন রণবীর কাপুর। তাঁর এই ব্যভিচার কোন গোপন ব্যাপার নয়। দীপিকার জীবনে রণবীর সিং আসার পর তিনি এখন স্থিতিশীল। দুর্নিবার বিবাহিত থাকাকালীন পরকিয়াতে জড়িয়েছিলেন। মীনাক্ষী তাঁর লেখার মধ্যে সেই প্রসঙ্গ খুঁচিয়ে তোলেন। দুর্নিবার – মোহরের বিয়ে ভালোভাবে নেয়নি অনেকেই। তাই নিমন্ত্রণ থাকলেও ইন্ডাস্ট্রির অনেকেই বিয়েতে যাননি। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় অবশ্য দাঁড়িয়ে থেকে বিয়ে দিয়েছেন। তিনি নিজেও তিনটি বিয়ে করেছেন। তাই এটা বুম্বাদার কাছে স্বাভাবিক ব্যাপার।অদ্ভূতভাবে নীরবতা রেখেছিলেন মীনাক্ষী। প্রাক্তন স্বামীর বিয়ে নিয়ে তিনি কোন শব্দ খরচ করেননি। শুধু দুদিন আগে তিনি নিজের ছবি দিয়ে লিখেছিলেন, আর একটু বেশি পরিশ্রমের পথে হাঁটো, তাতে ভিড় অনেক কম। মীনাক্ষীর লেখা নিয়ে অনেক রকম মন্তব্য এসেছে। গায়িকা ইমন তাঁকে ভালোবাসার প্রতীক বলে চিহ্নিত করেছেন। একদিকে যখন মানুষের সহমর্মিতা পাচ্ছেন মীনাক্ষী। অন্যদিকে, তখন দুর্নিবার ও মোহরের জন্য শুধুই কটাক্ষ। অবশ্য যে যেভাবে ভালো থাকে, তাঁকে সেইভাবে ভালো থাকতে দিতে হয়। কিন্তু অন্যের দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলিয়ে কী সত্যি ভালো থাকা সম্ভব ? উত্তর লুকিয়ে আছে কালের গর্ভে। জবাব একদিন মিলবে।
No comments:
please do not enter any spam link in the comment box