Bangla serial actor: সিনেমাতে সুপারফ্লপ, অথচ সিরিয়ালে সবথেকে বেশি টাকা নেন এই ৫ অভিনেতা

হিন্দি হোক বা বাংলা। সিরিয়াল থেকে বড় পর্দায় যাওয়ার উদাহরণ অনেক। আবার উল্টোটাও আছে। সিনেমাতে ফ্লপ করার পর ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকতে সিরিয়ালকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন অনেক অভিনেতা-অভিনেত্রী। আজকের প্রতিবেদনে এমন পাঁচ অভিনেতার কথা বলব, যাঁরা সিনেমাতে সুপারফ্লপ। তারপর সিরিয়াল করে ঘরে ঘরে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। এখন সিরিয়ালে সবথেকে বেশি পারিশ্রমিক পান তাঁরা। নিজেদের যোগ্যতায় সেই জায়গা তৈরি করতে পেরেছেন।

গৌরব চট্টোপাধ্যায় (Gourab Chatterjee): তালিকায় সবার উপরে আছেন উত্তম কুমারের নাতি গৌরব চট্টোপাধ্যায়। শুরুটা হয়েছিল সিনেমা দিয়েই। পরিচালক তরুণ মজুমদারের ছবি ‘ভালোবাসার অনেক নাম’। সিনেমা হিট করেনি। তবে গানগুলি দর্শকদের ভালো লাগে। এই সিনেমায় তাঁর সঙ্গে ডেবিউ করেন মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়ের মেয়ে মেঘা মুখোপাধ্যায়। তাঁকেও আর পরে কোথাও দেখা যায়নি। গৌরব পরে আরও কিছু সিরিয়াল করেছিলেন। কিন্তু উত্তম কুমারের নাম উজ্জ্বল করতে পারেননি। তারপর টিভিতে পা। প্রথম ধারাবাহিক ‘দুর্গা’। সিরিয়াল বিরাট হিট। একই সঙ্গে ছোট পর্দায় এসে ভাগ্য খুলে যায় গৌরবের। এখন তিনি সবথেকে বেশি পারিশ্রমিক পাওয়া অভিনেতা।

প্রতীক সেন (Pratik Sen): ২০০৮ সালে ঋতুপর্ণার বিপরীতে নায়ক হিসেবে অভিষেক হয়ে ছিল প্রতীকের। ছবির নাম ‘ভালোবাসার বাড়ি’। পরিচালক ছিলেন তরুণ মজুমদার। ছবি তেমনভাবে চলেনি। এরপর চল কুন্তল, আমার বডিগার্ড, পাসপোর্ট সহ কিছু সিনেমায় নায়ক হিসেবে কাজ করেন প্রতীক। তবে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য পাননি। প্রথম সিরিয়াল ‘খোকাবাবু’, তারপর ‘মোহর’, ‘সাহেবের চিঠি’ আর এখন ‘এক্কা দোক্কা’ ধারাবাহিকে কাজ করে ঘরে ঘরে মা-মাসিদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন।

আদৃত রায় (Adrit Roy): বর্তমানে বাংলা সিরিয়ালের অন্যতম চর্চিত নাম আদৃত রায়। ‘মিঠাই’ ধারাবাহিক তাঁকে সারা বাংলায় জনপ্রিয়তা দিয়েছে। অনেকেই জানেন না, আদৃত কিন্তু শুরু করেছিলেন সিনেমা দিয়েই। রাজ চক্রবর্তীর ‘প্রেম আমার ২’ ছবির নায়ক ছিলেন তিনি। এরপর বাংলাদেশের ‘নূরজাহান’ ছবিতেও হিরো হন। সেটাও ফ্লপ করে। বাধ্য হয়ে ছোট পর্দায় আসেন। ৩০ বছরের আদৃত ভালো গান গাইতে পারেন। তাঁর বাবা একজন সিঙ্গার।

জয় মুখোপাধ্যায় ( Joy Mukherjee): প্রথম ছবি ছিল ‘টার্গেট’। বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়েছিল। অভিনেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রাক্তন প্রেমিক জয় তাঁর রাগী এবং বদমেজাজি স্বভাবের জন্য ইন্ডাস্ট্রিতে কুখ্যাত। ২০১২-২০১৭ সাল পর্যন্ত তিনি কোন কাজ পাননি। এরপর স্টার জলসার হিট ধারাবাহিক ‘চোখের তারা তুই’ দিয়ে কাম ব্যাক করেন। তবে সান বাংলার ‘জিয়ন কাঠি’ সিরিয়ালে প্রয়াত অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা সেনের সঙ্গে খারাপ ব্যবহারের জন্য তাঁকে বের করে দেওয়া হয়।

সোমরাজ মাইতি (Somraj maiti): মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে সোমরাজ ভালো মাইনের চাকরি ছেড়ে বিনোদন দুনিয়ায় পা রাখেন। প্রথম কাজ ছিল স্টার জলসার ‘ঠিক যেন লাভ স্টোরি’। এখানে সহকারী চরিত্রে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। বড় ব্রেক ‘এই ছেলেটা ভ্যালভেলেটা’। মাঝে ‘প্রিয়া রে’ নামে একটি সিনেমায় কাজ করেছিলেন। কিন্তু বড় পর্দার নায়ক হিসেবে সাফল্য পাননি।

No comments:

please do not enter any spam link in the comment box

Powered by Blogger.