বঙ্গবাসীর গর্ব অরিজিৎ সিং (Arijit Singh) । শুধু গানের দিক দিয়ে নয়, মাটির মানুষ স্বভাবের জন্য শুধু বাংলায় নয়, সারাভারতে প্রশংসিত। গান দিয়ে যেমন তিনি মানুষের মন জয় করেছেন, তেমনি সুন্দর ব্যবহার দিয়ে মনে জায়গা করে নিয়েছেন। এবার সস্তায় পেট ভরানোর পথে নামলেন তিনি। খুলে ফেললেন নিজস্ব রেস্টুরেন্ট। সম্পূর্ণ বাঙালি রেস্তরাঁ। তিনি সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে। কনসার্টে গান গেয়ে (arijit singh concert) কোটি কোটি টাকা আয় করেন। সিনেমায় তাঁর গান বিরাট হিট হয়। আবেগ দিয়ে গান গাওয়া মানুষটি নিজেও ভীষণ আবেগপ্রবণ। মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জের মানুষের জন্য তিনি বিনামূল্যে হাসপাতাল তৈরির পথে নেমেছেন। এরপর ছোটদের জন্য উন্নতমানের স্কুল গড়ে দিতে চান। আর সব শেষে সস্তায় পুষ্টিকর খাবার খাওয়াতে জিয়াগঞ্জে খুলে ফেলেছেন নিজস্ব রেস্তরাঁ (Arijit Singh in hotel business) । নাম দিয়েছেন ‘হেঁসেল’।
সাধারণত তারকারা উপার্জনের অন্য পথ খুলে রাখতে হোটেল বা রেস্টুরেন্টের ব্যবসায় নামেন। কেউ এদেশে, কেউ বা বিদেশে খোলেন। আর সেসব উচ্চবিত্তদের জন্য। খাবারের ধারেকাছে সাধারণ মানুষ পৌঁছাতে পারে না। অরিজিৎ সিং সেই দিকে হাঁটেননি। তিনি খাবার হোটেল খুলেছেন সাধারণ মধ্যবিত্তদের জন্য। খাবারের দাম জানলে আপনি অবাক হবেন। নূন্যতম দামে মানুষকে ভালো খাবার দেওয়া হয়। তাঁর ‘হেঁসেল’ থেকে কেউ খালি পেট ফিরে যায় না। পেট ভরা খাবার দেওয়া হয়।
জিয়াগঞ্জের মাঝে এই রেস্টুরেন্টটি দেখভাল করেন তাঁর পরিবার। বাবা কাক্কু সিং পুরো দায়িত্ব পালন করেন। সারাদিন খোলা থাকে। রাত ১১ টায় বন্ধ হয়। দিনে দিনে খাবারের গুনগত মানের জন্য চারিদিকে সুখ্যাতি বাড়ছে। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি ফুট ব্লগার বা ইউটিউবারদের ভিড় এখানে লেগেই থাকে। মাঝে মাঝে অরিজিৎ নিজেও আসেন তাঁর প্রিয় রেস্টুরেন্টে খেতে। তখন ভিড় অনেক বেড়ে যায়। অনেকেই প্রিয় গায়ককে একবার দেখতে ছুটে আসেন। এখানে খাবার খুব সস্তা। সাধারণ পড়ুয়াদের জন্য বিশেষ থালির ব্যবস্থা আছে। আগে যার দাম ছিল ৩০ টাকা। এখন বেড়ে হয়েছে ৪০। বহরমপুরের যেকোন রেস্টুরেন্টের তুলনায় এখানে দাম অনেক কম। বাটার নান এখানে দাম মাত্র ৫০ টাকা। অন্য কোথায় সেটা মিলবে ১৫০ থেকে ২০০ টাকায়। দাম কমালেও গুনগত মানে কোনও কমতি করা হয়নি। তাই দিনে দিনে হেঁসেলের জনপ্রিয়তা বাড়ছে।
No comments:
please do not enter any spam link in the comment box