Kancha badam song fame Bhuban Badyakar: অহংকার পতনের কারণ, কাঁদতে কাঁদতে গ্রামে ফিরলেন বাদাম কাকু, ফের কি বাদাম বিক্রি করবেন ?
একটি গান শুধু তাঁকে খ্যাতি দেয়নি। দিয়েছিল বাড়ি, গাড়ি, টাকা-পয়সা, মান সম্মান। আর এখন সব হারিয়ে পথের ফকির তিনি। 'কাঁচা বাদাম' খ্যাত ভুবন বাদ্যকর (Bhuban Badyakar)। রাস্তায় রাস্তায় গান গেয়ে কাঁচা বাদাম বিক্রি করে সংসার চলত। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়া তাঁর জীবনটাকে ওলট পালট করে দিল। সব কিছু পেয়েছিলেন, কিন্তু ধরে রাখতে পারলেন কই ? একটি গানের দৌলতে বীরভূমের কুড়ালজুলি গ্রামের ভুবন বাদ্যকর বিশ্ব বিখ্যাত হয়ে যান। রাতারাতি ভাইরাল হয়ে যায় তাঁর গান। নাম হয়ে যায় বাদাম কাকু। ইউটিউব থেকে নিউজ চ্যানেল। সবাই তাঁকে নিয়ে মেতে ওঠে। টাকার বৃষ্টি শুরু হয়। দিন আনা দিন খাই, হত দরিদ্র পরিবারের মানুষ ভুবন বাদ্যকর, এত খ্যাতি হজম করতে পারেননি। মাটির বাড়ি ছেড়ে পাকা বাড়ি বানান। গাড়িও কিনেছিলেন। কিন্তু কপালে সইল কই ?
বাদাম ফেরি করতে করতে কাঁচা বাদাম গান বেঁধে ছিলেন। সেই গান ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়তেই রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে যান অখ্যাত গ্রামের ভুবন বাবু। লেখাপড়া জানেন না। তাই ঠকিয়ে নেওয়ার লোকের অভাব হল না। তাঁর গানের কপিরাইট কিনে নেয় একটি স্থানীয় সংস্থা। কথা দিয়েছিলেন, প্রতি মাসে ৪০ হাজার টাকা দেবেন। বাকি জীবন নিশ্চিন্তে কাটবে ভেবে সেই চুক্তিপত্রে টিপছাপ দিয়েছিলেন। কিন্তু বুঝতে পারেননি, এই টিপছাপ তাঁর কাল হবে। মাত্র একবার টাকা দিয়েছিল সেই সংস্থা। তারপর আর পাত্তা নেই। এদিকে নিজেও আর কোথাও কাঁচা বাদাম গান গাইতে পারেন না কপি রাইটের ভয়ে। তাঁর রচিত গান এখন অন্য কারও সম্পত্তি। ফ্যাংশনের ডাক পাওয়া সেই কারণে বন্ধ হয়ে যায়।
গ্রামেও নিশ্চিন্তে থাকতে পারেননি। প্রতিদিন উটকো ঝামেলা লেগেই থাকত। নানা রক্ম লোক এসে টাকা দাবি করত, শেষে ভয়ে গ্রাম ছেড়ে সিউড়িতে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করেন। কিন্তু চলবে কী করে ? জমানো টাকায় কতদিন টানা যায় ? উপার্জন বন্ধ। তারই মধ্যে এক বাংলাদেশী ইউটিউবার বাড়ি বয়ে এসে অপমান করে গিয়েছে। সেই ইউটিউবারের দাবি, তাঁর জন্য ভুবন বাদ্যকরকে সবাই চিনেছে। এখন তাঁর ফোন কেন ধরেন না ? ফোন কেন কেটে দিয়েছেন ?
পরপর এইসব ঘটনায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন ভুবন বাদ্যকর। তাই বাধ্য হয়ে গ্রামের বাড়িতে ফিরে এসেছেন তিনি। জানিয়েছেন, কীভাবে এখন চলবে জানি না। তবে আর রাস্তায় নেমে বাদাম তিনি বিক্রি করতে পারবেন না। চাষের জমিও তেমন নেই যে চাষ করে সংসার চালাবেন। এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মুখে ‘বাদাম কাকু’ ভুবন বাদ্যকর।
বাদাম ফেরি করতে করতে কাঁচা বাদাম গান বেঁধে ছিলেন। সেই গান ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়তেই রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে যান অখ্যাত গ্রামের ভুবন বাবু। লেখাপড়া জানেন না। তাই ঠকিয়ে নেওয়ার লোকের অভাব হল না। তাঁর গানের কপিরাইট কিনে নেয় একটি স্থানীয় সংস্থা। কথা দিয়েছিলেন, প্রতি মাসে ৪০ হাজার টাকা দেবেন। বাকি জীবন নিশ্চিন্তে কাটবে ভেবে সেই চুক্তিপত্রে টিপছাপ দিয়েছিলেন। কিন্তু বুঝতে পারেননি, এই টিপছাপ তাঁর কাল হবে। মাত্র একবার টাকা দিয়েছিল সেই সংস্থা। তারপর আর পাত্তা নেই। এদিকে নিজেও আর কোথাও কাঁচা বাদাম গান গাইতে পারেন না কপি রাইটের ভয়ে। তাঁর রচিত গান এখন অন্য কারও সম্পত্তি। ফ্যাংশনের ডাক পাওয়া সেই কারণে বন্ধ হয়ে যায়।
গ্রামেও নিশ্চিন্তে থাকতে পারেননি। প্রতিদিন উটকো ঝামেলা লেগেই থাকত। নানা রক্ম লোক এসে টাকা দাবি করত, শেষে ভয়ে গ্রাম ছেড়ে সিউড়িতে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করেন। কিন্তু চলবে কী করে ? জমানো টাকায় কতদিন টানা যায় ? উপার্জন বন্ধ। তারই মধ্যে এক বাংলাদেশী ইউটিউবার বাড়ি বয়ে এসে অপমান করে গিয়েছে। সেই ইউটিউবারের দাবি, তাঁর জন্য ভুবন বাদ্যকরকে সবাই চিনেছে। এখন তাঁর ফোন কেন ধরেন না ? ফোন কেন কেটে দিয়েছেন ?
পরপর এইসব ঘটনায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন ভুবন বাদ্যকর। তাই বাধ্য হয়ে গ্রামের বাড়িতে ফিরে এসেছেন তিনি। জানিয়েছেন, কীভাবে এখন চলবে জানি না। তবে আর রাস্তায় নেমে বাদাম তিনি বিক্রি করতে পারবেন না। চাষের জমিও তেমন নেই যে চাষ করে সংসার চালাবেন। এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মুখে ‘বাদাম কাকু’ ভুবন বাদ্যকর।
No comments:
please do not enter any spam link in the comment box